ট্রমা কাউন্সেলিং
মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অঘটনের জন্যে মানুষ ট্রমা বা মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হন। মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্ষতিকর বা ভীতিকর বিভিন্ন পরিস্থিতি বা ঘটনার কারণে ট্রমা হতে পারে, যা একজন ব্যক্তির সামাজিক, মানসিক, এবং শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উপরন্তু, সমাজের বিভিন্ন আচার আচরণ, কুসংস্কার ও প্রচলিত রীতি বা অভ্যাসগুলিও মানসিক আঘাত কে প্রভাবিত করতে পারে। বেদনাদায়ক (ট্রমাটিক) কোনো ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার ফলে কেউ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে সে এই অবস্থার শিকারে পরিণত হতে পারে এবং দীর্ঘকাল ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ফলে সেটা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) তে পরিণত হতে পারে।
একটি আঘাতমূলক ঘটনার পরের ঘটনা প্রায়শই স্মৃতিশক্তি এবং ফোকাসের ব্যাঘাত হিসাবে প্রকাশ পায়, যার ফলে ব্যক্তি উদ্বেগজনক চিন্তাভাবনা এবং বিভ্রান্তির অনুভূতি দ্বারা গ্রাস হয়। ঘটনার পুনরাবৃত্ত স্মৃতি আরও সংবেদনশীল যন্ত্রণা অনুভব করে।
আঘাতমূলক ঘটনায় যে শারীরিক আচরণগত প্রতিক্রিয়া যুক্ত থাকে তা হল,
ক্ষনে ক্ষনে জানা অজানা কারণে দুঃখ পাওয়া
ঘুমের সময়সূচী এলোমেলো হয়ে যওয়া
প্রায়ই মাথা ঘোরা,
বমি বমি ভাব
তীব্র মাথাব্যথা
অস্বস্তি বোধ করা বা ক্রমাগত ঘেমে যাওয়া
খাওয়াদাওয়ার প্রতি অরুচি
দরকার ছাড়া হৃদস্পন্দনে বৃদ্ধি
ঘুমের সমস্যা
ধূমপান, মদ্যপান বা ক্যাফিনের প্রতি ঝোঁক
বার বার একই চিন্তা হওয়া তার থেকে লজ্জা বা ভয় অনুভব করা